বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
মশাহিদ আহমদ :: বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বোরো ধানের সোনালি শীষ। তিব্র তাপদাহের মধ্যে পাকা ধান দুলছে বাতাসে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়স্থ কাউয়াদিঘি হাওরের চাতল বিলে বর্গা চাষী পরিন্ড সরকার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে শতাধিক শ্রমিক দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বোরো ধান কাটা উৎসব শুরু করেছেন। শিষ দুলানো সোনালী ধান কাটা উৎসবে যোগ দেন ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামিম আহমদ, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশাহিদ আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক চিনু রঞ্জন দাশ তালুকদার। সরেজমিন দেখা যায়- কৃষক পরিন্ড সরকার নিজ উদ্যাগে জমি বর্গা নিয়ে মাইলের পর মাইল জুড়ে বোরো ধান রোপন করেছেন। বৈশাখের শুরু থেকেই সেই ধান সোনালী রং ধারণ করছে। এতে বিস্তৃত হাওর এলাকা হয়ে উঠেছে সোনালী রঙয়ের আভা। বিকেলের হালকা বাতাসে কিংবা সকালের সোনালী রোদে দুলছে ধানের সোনালি শিষ। আর সেই ধান সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে কাটার মহোৎসব। বৃষ্টির পূর্ভাবাস উপেক্ষা করে ধান কাটছেন। চলছে মাড়াই। কৃষকরা খলাতেই শুকিয়ে নিচ্ছেন ধান। ধান গোলায় ভরে তবেই স্বস্তি তাদের। এ যেন এক অন্য রকম উৎসব। সবুজ শিষের রং লালচে হলেই চোখ-মুখ খুশিতে ভরে ওঠে কৃষকের। প্রস্তুতি শুরু হয় ধান কেটে মাড়াই করার স্থান খলা। গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে কৃষক পরিন্ড সরকার বলেন- জমি বর্গা চাষ করে ১শত কিয়ার জমির ধান কাটার জন্য ১শত জন শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা শুরু করলাম। এ বছর প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান- কৃষকের অবস্থা ভালো নয়। ফসলের ন্যায্য মৃল্য না ফেলে কৃষক কৃষি কাজ করতে আগ্রহ হারাবে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে তদারকি করে সঠিক কৃষককে সরকারি ঋন সহায়তা করার দাবী জানান।৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামিম আহমদ জানান- মনু সেচ প্রকল্প আজ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যে পৌছতে পারেনি। কাশিমপুর পাম্প হাউজ নতুন করে নির্মাণ কাজ হওয়ায় কৃষকরা বোরো ফসল ফলাতে পারছে। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কৃষকদের স্বার্থে অনেক উদ্যাগ গ্রহণ করেছে। উচ্চপর্যায়ের তদারকির মাধ্যমে এসব কাজ বাস্তবায়ন হলে মানুষ উপকৃত হবে। বর্গাচাষী পরিন্ড সরকারসহ অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরো বলেন- কৃষকরা ন্যায্য মৃল্য পায়না। তিনি সরকারের কাছে কৃষকদের ন্যায্য মুল্য দেওয়ার জোর দাবী জানান।